ঘুরে আসুন চিটাগাং এর বিখ্যাত ৫ টি জায়গা থেকে, মহামায়া লেক, চন্দনাথ, গুলিয়াখালি সি বীচ, বাশবাড়িয়া সি বীচ, কুমিড়া ব্রীজ।



এক স্পট থেকে আরেক স্পট এর দূরত্ব কাছে হওয়াতে একদিনেই ৫ টি স্পট কভার করা সম্ভব।
তবে তার জন্য চাই সুন্দর একটি ট্যুর প্লান যাতে করে সহজেই ঘুরতে পারেন এই পর্যটন স্পট গুলা।
তো এবার তুলে ধরছি সেই সহজ লভ্য ট্যুর প্লানটি।
রাত ১০ টার গাড়িতে ঢাকা আবদুল্লাহপুরর থেকে এনা পরিবহন ওঠি  ফেনী জেলা শহরে আসি রাত ৪:৩০ মিনিট। এনা পরিবহন বাস কান্টারে সকাল ৬ পযন্তত থাকি। ৬ টার পর কাউন্টার থেকে বের হয়ে চলে আসি মহিপাল,।চড়ে বসলাম চিটাগাং গামী বাসে গন্তব্য ঠাকুরদীঘি বাজার মিরসরাই। ঠাকুরদীঘি বাজারে নামার পর সিএনজি নিয়ে সোজা মহামায়া লেক তখন ঘড়ির কাটা ৭:১০ মিনিট। ৫০ মিনিট হাতে সময় লেকের পাড়ে বসে সূর্য বেগুনী ররশ্মি দেখলাম পানিতে এর ফাকে হালকা নাস্তা খেয়ে সকাল ৮ টায় কায়াকিং শুরু ১ ঘন্টা কায়াকিং করে ৯:২০ মিনিট ঠাকুরদীঘি বাজর থেকে বাসে করে সোজা সিতাকুন্ড বাজার। তখন ঘড়ির কাটা ১০ টা বাজে। সকালের নাস্তা খেয়ে
১০:২০ মিনিট গন্তব্য চন্দনাথ পাহাড় সিএনজি নিয়ে চলে আসলাম চন্দনাথ গেট। ১০:৩০ মিনিট ট্রেকিং শুরু ১১:৩৫ মিনিট উঠে গেলাম পাহাড়ের চূড়ায়। তবে
যাদের প্রথম ট্রেকিং হবে তাদের একটু সময় বেশি লাগবে। ৪০ মিনিট পাহাড়ের চূড়ায় কাটিয়ে নেমে আসলাম নিচে তখন ঘড়ির কাটা ১২:৪০ বাজে। এবার গন্তব্য  গুলিয়াখালি দুপুরের খাবার খেয়ে ১:৩০ মিনিট রওনা দিয়ে দুপুর ২টায় গুলিয়াখালি ১ ঘন্টা কাটিয়ে ৩ টা ৩০ মিনিট সিতাকুন্ড বাজারে।
সিতাকুন্ড বাজার থেকে এবার যাবো বাশবাড়িয়া চড়ে বসলাম লেগুনা টাইপের গাড়িতে ১০ মিনিটে চলে আসলাম বাশবাড়িয়া বাস স্টান সেখান থেকে সিএনজি নিয়ে চলে গেলাম বীচে তখন ঘড়ির কাটা ৩ টা ৫৫ বাজে বাশবাড়িয়া ৩০ মিনিট ব্রীজের উপর কিছু ছবি তুলে চলে আসলাম বাস স্টান সেখান থেকে লেগুনা চড়ে নামলাম  বড় কুমিড়া  বাস স্টান সেখান থেকে অটো করে কুমিড়া ব্রীজ, পৌছাতে পৌছাতে সূর্য অস্ত যাবে যাবে এমন সময় প্রায় মাগরিবের নামজের আগ মূহুত বেশ কিছুখন কাটিয়ে সন্ধার পর কুমিড়া ব্রীজ থেকে চলে আসলাম বর কুমিড়া বাস্টান গন্তব্যপথ ঢাকা তবে চিটাগাং আসছি মেজবানি খাবো না তা কি হয় চলে গেলাম চিটাগাং একে খান মোড় তখন ঘড়ির কাটা রাত ৭ টা বাজে।
ফ্রেশ হয়ে খেতে বসলাম মেজবানি কাপালে মিললো না কেননা সেদিন বন্ধ ছিল যাই হোক বিরিয়ানি খেয়ে রাত দশটার গাড়িতে চড়ে ভোর ৪ টার সময় গাবতলি বাস টার্মিনাল।
খরচ কেমন হলো
ঢাকা টু ফেনী= ৩০০ টাকা
ফেনী টু মিরসারাই =৫০ টাকা
কায়ারিং =১০০ টাকা ১ ঘন্টা স্টুডেন্ট ছিলাম বিধায়,
মিরসরাই টু সিতাকুন্ড= ৩০ টাকা,
সিতাকুন্ড টু চন্দনাথ গেট সিএনজি জনপ্রতি= ২০
চন্দনাথ গেট টু সিতাকুন্ বাজার= ২০।                           সিতাকুন্ড বাজার টু গুলিয়াখালি রিজাব সিএনজি =১৩০ টাকা,
আবার সিতাকুন্ড বাজার ফিরে আসতে= ১৩০ টাকা, সিতাকুন্ড বাজার টু বাশবাড়িয়া বাস স্টান =১৫ টাকা এরপর সিএনজি করে বাশবাড়িয়া ঘাট জনপ্রতি =২০ টাকা,আবর বাশবাড়িয়া বাস স্টান =২০ টাকা, বাশবাড়িয়া থেকে কুমিড়া বাস্স্টান =১০ টাকা,
কুমিড়া থেকে কুমিড়া ব্রীজ অটো করে জনপ্রতি ১৫ টাকা আপডাউন র‍=৩০ টাকা
কুমিড়া থেকে চিটাগাং শহর একে খান মোড় =৩০ টাকা।
একে খান মোড় টু ঢাকা =৪৮০ টাকা।
ঢাকা টু কুমিল্লা রাতের খাবার! =৫০ টাকা।
সকাল ও দুপুর ও বিকাল এর খাবার খরচ= ২২০ টাকা
রাতের বীরিয়ানি=১২০ টাকা।
সর্বমোট খরচ হয়ছে =১৭৭৫ টাকা জনপ্রতি
এই দীর্ঘ ট্যুর প্লান লেখালেখিতে কিছুটা পরিবতন করা হয়ছে বিভিন্ন জায়গা।
আপনি এই ৫ টা স্পট খুব সহজেই কভার করতে পারবেন যদি আপনি পরিবেশ সম্পর্কে সচেতন হোন কেননা আমরা যদি উক্ত পর্যটন স্পটগুলাতে ময়লা এবং চিপসের পেকেট বোতল ইত্যাদি ফেলা থেকে বিরত থাকেন তাহলে প্রকৃতি তার রূপ মেলে ধরবে তাই আসুন নিজ দেশের সকল পর্যটন স্পট গুলাতে ময়লা এবং কাগজ বোতল ফেলা থেকে বিরত থাকি।
হ্যাপি ট্রাভেলিং

#

মন্তব্যসমূহ